নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদককে নগরীতে আটকে রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) নগরীর হাটখোলা এলাকার একটি কাঠের দোকান থেকে অপহৃতা ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে উদ্ধারসহ তিন ছাত্রদল কর্মীকে আটক করা হয়।
তবে একাধিক মামলা থাকা সত্বেও ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপর আটককৃত ছাত্রদল কর্মীদের কোতয়ালী মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত ছাত্রদল কর্মীরা হলেন নগরীর সাগর গলির বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম প্রিন্স, আরিফুর রহমানের ছেলে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম সুজন ও দপ্তরখানা রোডের বাসিন্দা নয়ন তালুকদারের ছেলে সোলায়মান সুজন।
আটককৃতরা সবাই বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে আটককৃত তিন ছাত্রদল কর্মীসহ তাদের আরও ৭/৮ জন সহযোগিরা আটক করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ছয় লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে নগরীর চক বাজার সংলগ্ন হাটখোলা এলাকার একটি কাঠের দোকানে আটকে রেখে তার (শাকিল) ভাইকে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলের ভাই বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে মেট্রোপলিটন ডিবি ইন্সপেক্টর ছগির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আটককৃত ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত তিন ছাত্রদল কর্মীকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির দায়ের করা ওইসব মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে ছাত্রলীগ নেতার ঘনিষ্টজন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শাকিল তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় জামিনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে মেট্রোপলিটন ডিবি ইন্সপেক্টর ছগির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর ছাত্রদল কর্মীরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে জানিয়েছেন, তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:








