
ছবি : বাংলা এডিশন
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় তার নামে গড়ে উঠেছে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আলিশান ভবন, যার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
স্থানীয়দের দাবি, আরিফ সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালনকালে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে এই সম্পদ গড়েছেন। বগুড়ার শেরপুর, ধনকুন্ডি ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার নামে বা বেনামে আরও বাড়ি ও জমি।
মঙ্গলবার শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সর্বোচ্চ সরকারি বেতন ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। এই সীমিত আয়ে কোটি টাকার মালিক হওয়া সম্ভব নয়, যদি না দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা হয়ে থাকে।
চান্দাইকোনা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আরিফ সরকারের নির্মিত পাঁচতলা বাড়িটি বাজারের পাশেই তার শ্বশুর মো. রফিক মুহুরীর বাড়ির পাশে অবস্থিত। স্থানীয়দের ভাষায়, এটি ‘আলাদিনের চেরাগের মতো হঠাৎ গড়ে ওঠা সম্পদের প্রতীক’।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, তিনি শেরপুরে অ্যাপেক্সের একটি শোরুম, ধনকুন্ডুতে কৃষি জমি ও ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ঠিকাদারদের ছায়ায় থেকে এসব অর্জন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আরিফ সরকার বলেন, “আমি চাকরি করে এই সম্পত্তি অর্জন করেছি। আপনারা যা পারেন লেখেন, পড়ে দেখে নেব।”
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) রঞ্জন কুমার দাস বলেন, “উক্ত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি আরিফ সরকারের ব্যক্তিগত। তবে যদি তিনি জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন করে থাকেন, দুদক নিশ্চয়ই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
এদিকে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, দুদক যেন দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়।
আরও পড়ুন: