
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় আব্দুল মোমিন মালিতা নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। আব্দুল মোমিন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত হায়দার মালিতার ছেলে।
মৃতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এসময় একাধিকবার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদেরকে ওয়ার্ডে আসার অনুরোধ জানানো হয়। তবে তিনি নিজে না এসে প্রায় ২০ মিনিট পর একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আসেন। এরপর তিনি এসে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃতের বড় ছেলে মাসুদ আল মাহমুদ তুষার জানান, গত চারদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাবা। রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা বারবার চিকিৎসককে ডাকলেও তিনি আসেননি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়ত বাবা বেঁচে যেতেন।
এদিকে এমন ঘটনার পর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। এ সময় চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, জরুরি বিভাগে সবসময় রোগীর চাপ থাকে। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসক পাঠানো হয়। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মারধরের চেষ্টা করেন।
চিকিৎসা অবহেলার কথা অস্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বলেন, উনি ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট ছিলেন। একইসাথে ওনার বয়স বেশি। আমরা ওনাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি। এমনকি ওনার সজনদেরকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাহিরে চিকিৎসা নেয়ার কথাও জানিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: