বুধবার

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

দুর্নীতিবাজ এসিল্যান্ডের প্রাইজ পোস্টিং ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে

প্রতিনিধি,সাভার

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৫ ১৬:৩৭

আপডেট: ৪ মে, ২০২৫ ১৬:৩৮

শেয়ার

দুর্নীতিবাজ এসিল্যান্ডের প্রাইজ পোস্টিং ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে
ছবি : বাংলা এডিশন

ঢাকা মহানগরের অদূরে আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল সংশ্লিষ্ট সার্কেলটি ৪৪টি মৌজা বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত। এসিল্যান্ড মোঃ বাসিত সাত্তার আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে যোগদান করে স্থানীয় ভূমি দস্যু কথিত উমেদার জসিম, পলাশ , এসিল্যান্ড ড্রাইভার শাইন , আকবর , নামজারি সহকারি জাহেদ আল রাব্বি পদ মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী (নামজারি সহকারী) ও সার্ভেয়ার মুনতাজ, আমিনবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সিন্ডিকেটের গডফাদার কথিত দালাল লিমন সমন্বয়ে গড়ে তুলেছে ঘুষ বাণিজ্যের বিশাল চক্র। এই চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভূমি মালিকগণ। আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে ঘুষ ছাড়া কোন সেবা মিলছে না এমনটি অভিযোগে উঠে এসেছে।

ঘুষ বাণিজ্যে তৎপর রয়েছে চক্রের প্রতিটি সদস্যরা ঘুষ দিলেই সেবা মিলে সহজেই, অন্যদিকে ঘুষের পরিমাণ কম হলে বিভিন্ন অজুহাতে চক্রের প্রধান ঘুষখোর এসি ল্যান্ড মোঃ বাসিত সাত্তার নামজারীগুলো

না -মঞ্জুর করে দেন , এমনই অভিযোগ উঠেছে চক্রের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ স্বয়ং এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে । নামজারি জমাভাগ কেস নং ৭৮৩৭- ২৪/২৫ ঘুষের পরিমাণ কম হওয়ায় কেসটি না মঞ্জুর করে দেয় দুর্নীতিবাজ এসিল্যান্ড কাগজপএ সঠিক এবং যার সর্বশেষ খতিয়ান ৮২৬৯ আবেদন নাম্বার ৭৮৫৮৪৭৭ তারিখ ১৭-১০-২০২৩ নামজারি মামলা নং ৪৯০৮ ২০২৩/২৪ অনলাইন ডিসি আর নং ২৩২৬৯৭১৭১০৪৯০৮ প্রস্তাব স্বাক্ষর করেছেন মোঃ নজরুল ইসলাম (ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমিনবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিস) ১৮/ ১০/ ২০২৩ ও মোঃ হাবিবুর রহমান কানুনগো আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল প্রস্তাব পত্রে স্বাক্ষর করেছেন ২৯/ ১০/ ২০২৩ মৌজা কোন্ডা তৎকালীন দুইজনই বর্তমানে আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে এখনোও চাকরি অবস্থা আছেন। কিছুদিন আগে এই নামজারিটি অনুমোদন হয়েছিল তারপর ভূমি রেজিস্ট্রি হয়েছে তারিখ ১২/ ১১/ ২০২৪ সাভার রেজিস্ট্রি অফিস যার দলিল নং ২০৯৮০ / ২০২৪ যার সমস্ত তথ্য অনলাইনেও সাব রেজিস্ট্রি অফিসেও দেওয়া আছে । প্রশ্ন যদি সম্পত্তি টি ঝামেলা থাকতো কাগজপত্র তবে জমি রেজিস্ট্রি হলো কিভাবে।

পরবর্তীতে আবেদনকারীর মনজুরুল হাসান আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে অনলাইন নাম্বার ১১৪৭৮২৯১ যার নামজারি কেস নাম্বার ৭৮৩৭ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এসিল্যান্ড না মঞ্জুর করেন । না- মন্জুর কারণ ভূমি মন্ত্রণালয় নাগরিক কর্নার থেকে আরো জানা যায়, যে সেখানে এসিল্যান্ড লিখেন নামজারিটি না -মঞ্জুর করা হলো কারণ জানা যায়, রাষ্ট্রীয় অধিকরণ ও প্রজাস্বত্ব ১৯৫০ এর ১৪৩ ধরার ক্ষমতা বলে উক্ত আইনের ১৭৭ ধারা এবং প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ এর ২৩ ( ১) বিধি অনুসারে এই আদেশ প্রদান করা হলো কিন্তু এরকম অনেক কোর্ট অফ ওয়ার্ডস নামজারি এসিল্যান্ড ও ভূমি অফিসের সংকেত চিহ্নতে C.W লিখে বা বলে এরকম শত শত নামজারি হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

অপরদিকে আরেকটি বিষয় হচ্ছে ৭৮৩৭ ২৪/২৫ অর্থ বছরের নামজারির জন্য এসিল্যান্ড অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে তার ভূমি উন্নয়ন সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত পরিশোধ রয়েছে এবং যারা দুইজনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে চাকরিতে আছে।

অপরদিকে আর একটি নামজারী সাধাপুর মৌজার কেস নং সাদাপুর মৌজায় বাচ্চু সেরনিয়াবাত অনলাইন আবেদন ১১৩০৬৩৯০ যার নামজারি কেস নং ৬৬০২ ২৪/২৫ আবেদনকারীর নিকট টাকা দাবী করলে টাকা না দেওয়ার কারণে এই নামজারি টি না - মঞ্জুর হয়। যার কারণ কোন যুক্তিসঙ্গত নয় । পরবর্তীতে লাইনের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে নামজারি মঞ্জুর হয়।

মিসকেস সেবা প্রদান নামে এসিল্যান্ড বাসিত সাওার ও তার চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রতিটি মিসকেসে নামবার দিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। যে পক্ষে টাকা দেবে তার পক্ষে রায় দেবে এবং খুব অল্প সময়ে বাদী, বিবাদী হাজির হওয়া ছাড়া আদেশ দেন পক্ষপাতিত্ব করে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় এসিল্যান্ড অফিসে বহিরাগতরা বছরের পর বছর অফিসের চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। শুধু টাকা নয়? হাতিয়ে নিয়েছে অনেকেই কয়েকশো কোটি টাকার ভিপি সম্পতি লিজ জমি আবার অনেকেই লিজ নিয়ে মাসে মোটা অংকের ভাড়া দিয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে এসিল্যান্ডকে ম্যানেজ করে টাকার বিনিময়ে লিজ সেগুলো আবার বহু তলা বিল্ডিং করে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

সরকারি স্টাফ কম থাকার কারনে বহিরাগত জিম্মি করে রেখে এই অফিসটি।আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল আমিনবাজার জুরি ডিক্সানের ভিতরে পরে না ভাড়ায় বিল্ডিং নিয়ে এটি সাভার মৌজায় বিগত দিনের সিন্ডিকেটরা আলমনগর হাউজিং এ মোটা অংকের টাকার বিনিময় সরকার গচ্চা দিচ্ছে মাসে মোটা অংকের ভাড়ার টাকা। সরকারি অফিস উচিৎ ছিল জনবান্ধব জনগণের চলাচলের সুবিধা কিন্তু রাস্তার আশেপাশে অফিস ভাড়া না নিয়ে ভিতরে সাভার রাজস্ব সার্কেলের এরিয়াতে অফিস পরিচালিত করে আসছে বছরের পর বছর এই সিন্ডিকেটের লোকজন মাধ্যমে অফিসটি পুরো বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে সেখানে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য , আতঙ্ক দূর দূরান্ত থেকে জনগণ সেবা নিতে আসা লোকজন বেশিরভাগ থাকে ভয় এখানে আসলে ভয়-ভীতি কাজ করে। কারণ অফিসটি একটি হাউজিং বেষ্টনীতে পরিহিত। এখানে প্রায় লেগে থাকে ২/৩ গ্রুপে হাউজিং ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে মারামারি, গোলাগুলি গুলিবর্ষণ অ্প্রিতীকর ঘটনা প্রায়ই লেগে থাকে। সেই সুবাদে আমিনবাজার এসিল্যান্ড অফিসটি নিয়ন্ত্রণ করে একটি ভূমিদস্যু চক্র। আবার এই চক্রের সদস্যরা ভিতরে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে থাকে তারা যেভাবে এসিল্যান্ড কে বলে বর্তমান এসিল্যান্ড তাদের কথামতো কাজ করে তারা এসিল্যান্ড কে যতটাকা লাগবে তারা বিভিন্ন কেস লাইনের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের জিম্মি করে কাজ বাগিয়ে নেয়।

খোদ বর্তমান মোঃ বাসিত সাওার প্রথম থেকে পা দেয় এই সিন্ডিকেটের হাতে। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আমিনবাজার এসিল্যান্ড অফিস ও তহসিল অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি ক্যাম্প অফিস।

অপর দিকে দীর্ঘ ১১ মাস থেকে সাদুল্লাপুর ক্যাম্প অফিসে একজনও সরকারি লোক নেই। জেলা প্রশাসকের নাকের ডগায় অফিস চালাচ্ছে বহিরাগতরা বিভিন্ন দূর দুরান্ত থেকে সাদুল্লাপুর ক্যাম্প অফিসে সেবার জন্য মানুষ ছুটে আসে পরে দেখে বহিরাগতরা চালাচ্ছে ক্যাম্প অফিস। তাছাড়া সব সময় সেখানকার নিয়ন্ত্রণ দালাল রা অফিসের আলমারি খুলে যার যেমন কাজ বাগিয়ে নিচ্ছেন। এত বড় গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব সার্কেল এখানে তিনজন ভূমি সহকারী অথবা উপসহকারী কর্মকর্তা দরকার কিন্তু একজন ভূমি ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা রয়েছেন তিনি একাই দুইটি তহসিল অফিস চালান তার দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই বেশিরভাগ সময় থাকেন কোর্টে জেলা প্রশাসক মিটিং ভূমি ভবন মিটিং এ আবার দুইটি অফিস রয়েছে দুই প্রান্তে সপ্তাহে সেদিন বিভিন্ন লোকজন দূর-দূরান্ত ঢাকা থেকে এসে সেবা পায় না। ভূমি মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন অত্র এলাকা স্থায়ী বাসিন্দা আজগর আলী। তিনি বলেন আমগো বাড়ির সামনে অফিস এখানে একজন দিয়া অফিস চলবো না আপনারা লেখেন আরো দুই একজন স্যার আমিনবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সাদুল্লাহপুর ভূমি অফিসে দেওয়া হোক।

ঢাকার ১৯ টি রাজস্ব সার্কেল এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল এই সার্কেলটিতে নামজারি সংখ্যা যেমন সবচেয়ে বেশি তেমনি এখানে অর্পিত সম্পত্তি, সম্পত্তি লিজ নবায়ন, হাট বাজার, বালু মহল, জলমহল, ঢাকার অদূরে আমিনবাজার বর্তমান জায়গা জমির দাম বাড়ার কারণে মিস কেসের সংখ্যা প্রতিনিয়ত অনেক বেশি।আর এইগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এসিল্যান্ড অফিস ও ভূমি অফিসের সিন্ডিকেটের লোকেরা।

এছাড়া আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে ঢাকার অদূরে আমিনবাজার থেকে আশুলিয়া, দিয়াবাড়ি উত্তরা বোট ক্লাব পর্যন্ত আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের অধীনস্থ তাছাড়া আরিচা মহাসড়কের পাশে দুইধারে অসংখ্য৷ রয়েছে ইট ভাটাগুলো আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের অধীনে এসব ইটভাটা থেকে প্রতিমাসে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে চাঁদা নিয়ে আসে এসিল্যান্ড অফিসের নিয়োজিত ব্যক্তিরা।

সম্প্রীতি একটি বিষয় মহামান্য আদালতে নজরে আসলে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সারা বাংলাদেশ থেকে ইটভাটা গুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া নির্দেশ আসে।তারই ধারাবাহিকতা আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল আদালতে নির্দেশে এবার ভাঙতেই হবে ইটভাটা গুলো কিন্তু যারা মাসোয়ারা দিয়ে এসেছিল ইটভাটা চালানোর জন্য হঠাৎ ইটভাটা গুলো ভাঙার কারণে বিক্ষোভে ফেটেপড়েছিল ও এসি ল্যান্ডে বাসিত সাওার এর পদত্যাগ দাবি করে আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছিল ইটভাটা শ্রমিক ও মালিকেরা। এরকম বিক্ষোভটি ঈদের আগে হয় ইট নির্মাণ শ্রমিকরা তারা আমিনবাজার বাজার এসি ল্যান্ড এর বিচারের দাবিতে আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়।

অনেকের ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে মিস কেসের বেলায় তার সময় কাল যতগুলো মিস কেস হয়েছে বেশিরভাগ মিস কেস গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময় রায় দিয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত বলে সেবা নিতে আসা নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন আমার মিস কেস থেকে এসি ল্যান্ডের সহকারি জায়েদ আল রাব্বি পদ মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী (নামজারি সহকারী) সে টাকাগুলো নেয় এরকম তথ্য হাতে এসেছে। অতীতে রাব্বির ব্যাপারে আরও তথ্য জানা যায় সে যখন লালবাগ রাজস্ব সার্কেলে মিস কেস বাবদ নামজারিতে অনেক লোককে হয়রানি এবং টাকা ছাড়া কোন কাজ সে করতো না। ২০২৪ জাতীয় নির্বাচনে আগে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কার্যালয় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জনৈক এক ব্যক্তি। তখন বিষয়টি আমলে নেয় তৎকালীন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় শাস্তি মূলক বদলি দিয়ে ঢাকা থেকে তাকে আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে বদলি করা হয়। আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলে যোগদান করে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় তলা অফিস থাকার পরেও তৃতীয় তলা এসিল্যান্ড কে নিয়ে সে রুমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছিল।



আরও পড়ুন:

banner close
banner close