
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদের সরকারি জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করা হচ্ছে। সাজেদা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার পরিষদের বিএডিসি ভবন এলাকার। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।
অভিযুক্ত নারী সাজেদা খাতুন উপজেলার সদর ফায়ার সার্ভিস পূর্ব এলাকার মৃত মজনু মিয়ার স্ত্রী।
অভিযোগ রয়েছে, অন্য এক জায়গায় নির্মাণ করা পাকা বাড়ি থাকা স্বত্তেও উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বসতবাড়ি করে উপজেলা পরিষদের জমি দখলে রেখে বসবাস করছেন সাজেদা খাতুন নামে এক নারী। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না স্থানী প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের বিএডিসি ভবন লাগোয়া বসতবাড়ি নির্মাণ করে সরকারি জমি দখলে রেখেছেন সাজেদা খাতুন নামের এক নারী। ওই বাড়িতে বসবাস করছেন তিনিসহ তার এক সন্তান। অথচ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সামনে মহাসড়কের পূর্বপাশে পাকা বাড়ি নির্মাণ করা রয়েছে ওই নারীর। এরপরও উপজেলা পরিষদের সরকারি জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বাস করছে তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ওই নারীর ফায়ার সার্ভিসের সামনের রাস্তার পূর্বপাশে এক জায়গায় পাকা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু তারপরও উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল করে বাড়ি করে বসবাস করছেন সাজেদা খাতুন। তিনি আরও বলেন, তার অন্য জায়গায় নির্মাণ করা পাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে ওই নারী সরকারি জায়গায় বাড়ি করে বাস করছেন।
অভিযুক্ত নারী সাজেদা খাতুনের ভাষ্য, উপজেলার সরকারি ওই জমিতে তারা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। তিনি মুঠোফোনে বাংলা এডিশন-কে বলেন, "আমার স্বামী তৎকালীন ইউএনও কে বলে বাড়িটি করে দিয়ে গেছেন।'' নিজের বাড়ি রেখে সরকারি জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমার ওই বাড়িতে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। এই জন্য এখানে থাকি। সর্তসাপেক্ষ সরকারি জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি।"
এবিষয় নিয়ে কথা হয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল কুমার হালদারের সঙ্গে। তিনি বাংলা এডিশন-কে বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধভাবে দখলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: