
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও এনায়েতপুরে বিএনপির সাত নেতার পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও তিন নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন:
উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল সরকার, সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বেল্লাল হোসেন, সদস্যসচিব মুকুল হোসেন, সদস্য আশরাফুল ইসলাম মিন্টু, পঞ্চকোষী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন সাবু এবং এনায়েতপুর থানার জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার।
এছাড়া, উল্লাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু হাসান অভি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ জালাল এবং পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় আট নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন নেতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট:
জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া পৌর বাস টার্মিনালে পৌর জামায়াত নেতা হাফিজুর রহমান ও বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আজাদ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরদিন ১৮ এপ্রিল জুমার নামাজ শেষে রামকান্তপুর এলাকায় আজাদ হোসেনের ওপর হামলা চালানো হয়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় বিএনপির আট নেতার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: