
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে মহান মে দিবস। এরই অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে জেলা প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তারিফ-উল-হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার।
ফরিদপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শক (সেফটি) মো. ইসমাইলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, ফরিদপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘মালিকের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্ক থাকলে উভয়ের জন্যেই ভালো। যদি কোনো মালিক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, তাহলে তার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শ্রমিকরা। কারণ মালিকরা শ্রমিকদের ওপর ভর করেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের মৌলিক অধিকারসহ কর্ম পরিবেশে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে। শ্রমিকরা কিন্তু তাদের মালিকের জন্যই কাজ করে। শ্রমিকরা কাজ করে বলেই মালিকরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বড় করতে পারছে। তাই এ দিবসে সকল মালিকদের উচিত শ্রমিকদের মূল্যটা বোঝা, তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা।’
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্য শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: