দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে নানা প্রকার অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা ইউসুফ দেওয়ান রাজু। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বিশস্ত সহচর ইউসুফ দেওয়ান রাজুর বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার আড়ালে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক সংসদের বিশেষ সুপারিশে ছাত্রলীগ নেতা রাজু দেশের অন্যতম স্যাটেলাইট টেলিভিশনে চাকুরী হবার কারণে বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করেন। সাবেক সংসদের বিশস্ত সংঙ্গী হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দলীয় বিভিন্ন কর্যক্রমের ছবি পোস্ট করে নিজের সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক পদবীকে হাতিয়ার বানিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধে কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন দফতরে হুমকি দামকি দিয়ে সরকারী টেন্ডারবাজিতে এই রাজু ছিল অন্যন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে আওয়ামীলীগ দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার সাথে সাথে সাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজু নিজেকে রাজনৈতিক চাপ মুক্ত থাকার জন্য জেলা বিএনপি'র একাংশে সাথে সক্ষতা গড়ে তোলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে কথা হলে তারা জানান, রাজু ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তার মামার একটি স্থানীয় পত্রিকার সে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। তার আগে তিনি খুব একটা পরিচিত ছিলেন না।
সে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রকৃত ধারার সাংবাদিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন। তার চলাফেরাও অপসাংবাদিকতা ও সুবিধাবাদী সাংবাদিকদের সাথে।
সে এমন কোন সাংবাদিক নেই তার মিডিয়া হাউজে অভিযোগ করেননি। সে এমনই হিংস্র যে নিজের স্বার্থ চরিত্রার্থ করতে অন্যের চাকরি কেড়ে নিতও দ্বিধা করে না।
আগে মিল্লাত মুন্নার তদবিরে আর টিভিতে কাজ করতো রাজু। সেখানে লাইভে ভালো পারফরম্যান্স না থাকায় তার লাইভ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এখন ৭১ টিভিতে সদস্য নিয়োগ পাওয়া সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি পারভেজ আলীর পিছনে লেগেছে রাজু।
এ বিষয়ে একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি পারভেজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমি দীর্ঘ সাত মাস ট্রয়ালে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২ তারিখ হতে অফিসিয়াল জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত হই। আমার কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমি ফেসবুক ফ্রেন্ডলিষ্টে থাকা এনটিভির জেলা প্রতিনিধির টাইম লাইনে পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি রাজুকে একাত্তর টিভি জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিযোগ দেয়া হয়েছে।
এর পর আমি ৭১ টিভির ন্যশলান ডেস্কের দায়িত্বে থাকা পলাশ মাহমুদ সহ একাধিক সহকর্মীর সাথে যোগাযোগ করি। তাতে রাজুর নিয়োগের ব্যাপারে কেউ জানেননা বলে অফিস থেকে অবহিত করার হয়। এর পরও একাত্তর টিভিতে তার নামে একাধিক প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে। সে অবৈধভাবে আমি থাকা অবস্থায় নিয়োগ নিয়ে এসেছে তা আমার কাছে আজও ক্লিয়ার না।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি ইউসুফ দেওয়ান রাজুর কাছে তার বক্তব্য জানতে একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়ার চেষ্টা করেও কলটি তিনি রিভিস করেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে একাত্তর টিভির ন্যাশনাল ডেস্কের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, পারভেজ আমাদের জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন। তবে অজ্ঞাত কারণে ইউসুফ দেওয়ান রাজুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অফিসিয়াল ডেকোরাম মেইনটেইন করে চলছি। আর পারভেজের বিষয়ে অফিস থেকে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’
আরও পড়ুন:








