
কুষ্টিয়া শহরে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ফলের দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেছে। রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের চৌড়হাস মোড়ে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আসেন এবং রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আল্লাহর দান ফল ভান্ডারের মালিক উজ্জ্বল শাহ বলেন, চৌড়হাস মোড়ে আমার সহ তিনিটি ফলের দোকান পাশাপাশি অবস্থিত। প্রতিটি দোকানেই আপেল, কমলা, আঙুর, মাল্টা, তরমুজ সহ বিভিন্ন ধরনের ফল মজুত ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, রাত দুইটার সময় দোকান বন্ধ করে আমি বাসায় যায়। আড়াইটার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসি। ফায়ার সার্ভিসের দল আসে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। তিনটি দোকানগুলো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানি না। আমরা কিছুই ধারণা করতে পারছি না। আমার দোকানে ক্ষতি হয়েছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। আমার মতো বাদশা ও রাব্বির ফলের দোকানেও অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাদের দুজনেরই ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।
ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিটি দোকানেই আপেল, কমলা, আঙুর, মাল্টা, তরমুজ সহ বিভিন্ন ধরনের ফল মজুত ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা পথে বসে গেছি। সরকারের সহযোগিতা চাই। আমরা পথে বসে গেলাম। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। সরকার সহযোগিতা করলে আমরা বাঁচতে পারব।
বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার কাজী আরিফুল হক। তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনটি ফলের দোকান ও একটা চায়ের দোকান ভস্মীভূত হয়েছে৷ ফুলের দোকান তিনটিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ছিল। এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। সবকিছু আমরা তদন্ত করে দেখছি।
আরও পড়ুন: