
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে এটাকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে।
রোববার সকালে আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সাত্তার উপজেলার একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত্তার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। শনিবার রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নেয়। ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সামনের একটি গাছে সাত্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই মুফতি আনোয়ার অভিযোগ করেন, ‘জায়গা জমি ও মাটি কাটা নিয়ে আমার কাকা এছাক, জেঠাতো ভাই হারুন ও বাবুলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া মাটি কাটা নিয়ে আমানিয়া ব্রিক ফিল্ডের তারেক ও আরিফের সঙ্গে আমার ভাই সাত্তারের বিরোধ দেখা দেয়। তারা এক জোট হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছিল।’
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা দুইজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন যে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিক ভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: