মডেল মসজিদ, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ভবন এবং আনসার ভবনের টেন্ডার নিয়ে বরিশাল গণপূর্ত কার্যালয় উত্তেজনা ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম জানিয়েছেন, তাকে লাঞ্ছনা এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তবে ঠিকাদার এ টি এম আশরাফুল হক রিপন জানান, ‘প্রকৌশলী একবার রি-টেন্ডার করেও যখন তার পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পারছিল না, তখন নানাভাবে ছলচাতুরি করে। আমি কাউকে লাঞ্ছিত করিনি। আমার দরপত্রে কি কি সমস্যা আছে জানতে গিয়েছিলাম।’
গণপূর্ত বরিশাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি উপজেলা মডেল মসজিদ, দুর্নীতি দমন কমিশনের ভবন এবং আনসার ভবনের জন্য গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর টেন্ডার আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। তবে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ড ক্যাপাসিটি না থাকার কারণে তিন মাস পর ২ জানুয়ারী ফের রি-টেন্ডার করে গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু ফের একই প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডারের অংশ নেয়।
এই টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে সাবেক মহানগর যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম শাহীন ও আব্দুর রহিম আসেন গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়। তাদের আলোচনার মধ্যেই ঠিকাদার এ টি এম আশরাফুল হক রিপন আসেন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। নির্বাহী প্রকৌশলীর টেবিল চাপরে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ঠিকাদার রিপন।
ঠিকাদার এ টি এম আশরাফুল হক রিপন বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলীর পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্ক ক্যাপাসিটি ছিলনা। আমি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলাম। যার প্রেক্ষিতে তিন মাস ঘুরিয়ে নতুন করে রি-টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু ফের সেই প্রতিষ্ঠানগুলি আবার দরপত্র দিয়েছে। কিন্তু আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দেয়ার জন্য নানাভাবে কুটকৌশল করছিল নির্বাহী প্রকৌশলী। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে। তাকে আমি লাঞ্ছিত করিনি ও হুমকিও দেইনি।’
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে এসে রিপন ও তার দলবল আমার টেবিল চাপড়ে হুমকি দিয়ে গেছে। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজন হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
আরও পড়ুন: