বৃহস্পতিবার

১ মে, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
৩ শাওয়াল, ১৪৪৬

অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান

প্রতিনিধি,ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৭:৩৯

শেয়ার

অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান। ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সড়ক ও ড্রেন নির্মাণকাজের অনিয়মের অভিযোগে সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুদকের প্রতিনিধি দল সিটি করপোরেশনে অভিযান শুরু করেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ মার্চ আলী আহাম্মদ নামে সিকে ঘোষ রোড এলাকার একজন বাসিন্দা দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যতটুকু হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুদক ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদুকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার মানুষের চাহিদা বিবেচনায় সরকার ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় ধরা হয়েছে।

দুদকের অভিযানিক দল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মিঞার কক্ষে গিয়ে প্রকল্পের তথ্য চান। বেলা ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত দুদকের কর্মকর্তার প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে অবস্থান করছিলেন।

পরে দুদকের কর্মকর্তারা সিটি কর্পোরেশনের ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের ড্রেনেজ এবং রাস্তা অনিয়মের দুর্নীতির বিষয়ে সরেজমিনে দেখতে যান। নগরীর আমলাপাড়া, বাগমারা, ভ্রাম্যপল্লী, রাস্তা ও ড্রেনেজ ইস্পাট দ্বারা ম্যানেজমেন্ট করা হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ফিতা টেনে রাস্তা পরিমাপ করে কমবেশি পাওয়া গেছে। সবার সম্মিলিত স্বাক্ষরে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। মাপঝোঁকের সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আজহারুল হক বলেন, যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অভিযান চালিয়েছে সেখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। ক্ষোভের বশত কেউ অভিযোগ দায়েরে করেছে; এতে সিটি করপোরেশনের সম্মানহানি ছাড়া কিছু নয়।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুদকের অভিযান সম্পর্কে তারা আগে থেকে জানতেন না। এভাবে অভিযান পরিচালনা করে সিটি করপোরেশনের মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তারপরও দুদকের চাহিদার প্রেক্ষিতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কাজ শেষ না করে কোনো ঠিকাদারকে বিল দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

 
banner close
banner close