
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেছেন, "আমরা মানিকগঞ্জ জেলায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতামূলক স্পষ্ট কাজ করতে চাই। যেখানে কোনো কিছু অস্পষ্ট থাকবে না। আপনাদের যেকোনো এলাকায় কোনো কাজ হলে আমি কিংবা আমার অফিসের কেউ যদি কোনো তথ্য বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করি তাহলে দেশে আইন আছে, প্রশাসন আছে আপনারা তাদের অবগত করবেন। আমরা অস্পষ্ট কোনো কাজ চাই না। আমরা সম্পূর্ণ স্পষ্ট কাজ করতে চাই এবং জনগণের জন্যই কাজ করতে চাই। আগামীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কোনো বৈষম্য থাকবে না।"
১০ (ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গনশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলার সাতটি উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন শ্রেণির ভুক্তভোগীসহ অন্যান্য শ্রেণীপেশার মানুষজন অংশীজন এ গণশুনানীতে অংশ নেন।
গনশুনানিতে জানানো হয় পদ্মা, যমুনা নদীসহ জেলা অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর ভাঙন ঠেকাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পৃথক আটটি ঘাট নির্মাণ ও ২ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ, সিসি ব্লক এবং জিও ব্যাগ দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ শক্তিশালীকরণ ও ৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খাল পুনঃখননের চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহের বিষয়ে উত্থাপন করা হয়।
গণশুনানি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিক্তা আক্তার, পাওয়ার গ্রীড বাংলাদেশের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান গিয়াস মাহমুদ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জাকির হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মতিউর রহমান, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, হরিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি জ. ই. আকাশ, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম চন্দন প্রমুখ।
এ সময় ভাঙ্গনকবলিত উপজেলা থেকে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সধীজন ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: