বৃহস্পতিবার

১ মে, ২০২৫
১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
৩ জিলক্বদ, ১৪৪৬

মুশফিক বিল্লাহ্ জিহাদ-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সালথায় গণসংবর্ধনা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৬:০৩

শেয়ার

মুশফিক বিল্লাহ্ জিহাদ-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সালথায় গণসংবর্ধনা
ছবি: বাংলা এডিশন

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন, ইসলামি মিডিয়া জগতের উদ্ভাবক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ-এর কনিষ্ঠ পুত্র মুশফিক বিল্লাহ্ জিহাদ-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তার নিজ এলাকা ফরিদপুরের সালথায় বিশাল গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড় খারদিয়া পশ্চিম মিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই গণসংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।  

সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট শাহ্ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব টুলু মিয়ার সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদ মাতুব্বর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাসার আজাদ, শাহ মুহম্মদ হাবিবুল্লাহ, কাজী ইলিয়াস হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাসার রুমান, যুবদল নেতা মিরান হুসাইন, সালথা উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুশফিক বিল্লাহ্ জিহাদ বলেন, ‘জীবন থেকে ১৫ বছর চলে গেছে, ছোট দুটি সন্তান রেখে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। তাদের আদর করতে পারি নাই, অনেক মূল্যবান সময় জীবন থেকে চলে গেছে। আমাদের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বড়ভাই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে, শেষ দেখাটা দেখতে পারি নাই। আওয়ামীলীগ সরকার কবরটাও এদেশে করতে দেয় নাই। অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছে আমার পরিবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ যদি সম্মান দেয়, মানুষ ইচ্ছা করলেও সেই সম্মান কেড়ে নিতে পারে না। ফ্যাসিস্ট সরকার পা ধরে টেনে চেষ্টা করেছে নিচে নামাতে, কিন্তু আল্লাহ আমাদের উপরে টেনে তুলেছেন। আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, আপনারা ভালোবেসেছেন, দোয়া করেছেন তাই আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। আপনাদের ভালোবাসা নিয়েই আমরা বেচে থাকতে চাই। সমুদ্রের মাঝে থাকলেও একফোটা পানি গায়ে লাগে নাই। আল্লাহ সম্মান বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

এদিকে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ-এর একমাত্র মেয়ে সামানিয়া জান্নাতি জানান, ‘শুধুমাত্র মওলানা আবুল কালাম আজাদ-এর সন্তান ও আত্মীয় হওয়ার কারনে  আমাদের জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগ পর আমার ছোট ভাই দেশে ফিরে এসেছে। এখন আপনারা দেখেছেন এলাকার মানুষ আমাদের কত ভালোবাসে। দেশবাসীর কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।’

banner close
banner close