বৃহস্পতিবার

১ মে, ২০২৫
১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
৩ জিলক্বদ, ১৪৪৬

সেন্টমার্টিনের বর্জ্য শনাক্ত করতে ‘ড্রোন’ ব্যবহারের উদ্যোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৩:২৪

শেয়ার

সেন্টমার্টিনের বর্জ্য শনাক্ত করতে ‘ড্রোন’ ব্যবহারের উদ্যোগ
সেন্টমার্টিন। ছবি: সংগৃহীত

সেন্টমার্টিনদ্বীপে প্লাস্টিক বর্জ্য খুঁজে বের করতে ড্রোন উড়িয়ে শনাক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় ৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। পাশাপাশি দ্বীপের জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চলবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল এ জন্য সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে। 

প্রবালসমৃদ্ধ আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটিতে এখন কোনো পর্যটক নেই। সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পর্যটকশূন্য থাকায় দ্বীপের পরিবেশ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র রক্ষার কাজ এখন পুরোদমে চলবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সেন্টমার্টিনদ্বীপের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং খাওয়ার পানির সংকট নিরসন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেন্টমার্টিনদ্বীপের কোন কোন জায়গায় প্লাস্টিকসহ বর্জ্য পড়ে আছে, ড্রোনের মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হবে। এ জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনের পথে রওনা দিয়েছে। তাঁরা ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে বর্জ্য শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছে। এরপর সেন্টমার্টিনের সুরক্ষায় করণীয় ঠিক করতে দ্বীপের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ফেব্রুয়ারির ১০ অথবা ১২ তারিখ বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে।

এদিকে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পাঁচ দিন ধরে পর্যটক না থাকায় শ্রমজীবী মানুষের ওপর এর মধ্যেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে যাঁরা ইজিবাইক-টমটম চালাতেন, তাঁদের কেউ কেউ বিকল্প আয়ের সন্ধানে নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরছেন। কেউ কেউ আহরিত মাছ বালুচরে বাঁশের মাচা বেঁধে শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। কেউ পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ শুরু করছেন। নারীদের কেউ কেউ পাথর ভাঙা, পিঠাপুলি তৈরি ও কৃষিকাজে মনোনিবেশ করছেন।

সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বন্ধের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ খাওয়ার পানির সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে দ্বীপের লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দ্বীপে হোটেল-রিসোর্ট আছে ২৩০টি। কোনোটিরও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।

 

banner close
banner close