
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সদর উপজেলা চত্বরে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেয়া হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে পৌঁছান। এরপর সেখানে স্থাপিত শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেন। পরে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পুরো স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এরপর বিক্ষোভকারীরা পৌরসভার মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিও গুঁড়িয়ে দেন। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতার ছবি ভাঙচুর করেন এবং প্রধান সড়কে এসব ছবি পদদলিত করেন।
এরপর তারা জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরালও ভাঙচুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছেন, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ এখানে একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা ওর হুমকির জবাব দিতে চাই। আমরা জানাতে চাই আর কোনোদিন আওয়ামী লীগের স্থান বাংলায় হবে না।’
আওয়ামী লীগের ইতিহাস চিরতরে মুছে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আসলাম হোসেন অর্ক।
আরও পড়ুন: