
ছবি: বাংলা এডিশন
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার যে স্টাইলে দখলদারির রাজনীতি করেছে, সেই একই স্টাইলে রাজনীতি করছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও জাকির হোসেন সরকার। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এমন অভিযোগ করেন দলটির পদবঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
কুষ্টিয়া বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বাতিল ও কমিটিতে আওয়ামী দোষর অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিমুল হাসান অপু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, মাহবুব-উল আলম হানিফের বউয়ের বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ আগস্টের রক্তের দাগ এখনো শুকাইনি, অথচ এরমধ্যে সেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অনুমোদন পেয়ে গেল! হানিফের স্ত্রীকে বাদ দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে। সেখানে কুষ্টিয়া বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকার মালিকানা নিয়েছে।
শামীমুল হাসান অপু বলেন, কুষ্টিয়ায় যে স্টাইলে রাজনীতি করেছেন হানিফ-আতা (আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান) এই স্টাইলে তাদেরই যোগসাজশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার।
এ সময়ের আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পরে যে কয়েকটি থানার আহবায়ক কমিটি করেছে, সেই কমিটিগুলো জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির স্টাইলে ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে স্বজন প্রীতির আশ্রয় নিয়ে অযোগ্য দুর্বল ও আওয়ামী সরকারের সাথে আঁতাতকারীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পদবঞ্চিতরা বলেন, দাবি আদায়ের লড়াইয়ে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গত ৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল অনশন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এছাড়াও তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।
পদ বঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার।
আরও পড়ুন: