
বিদায় সব সময়ই বেদনার। তবে সেই বিদায় বেদনা ছাপিয়ে কখনো কখনো চিরস্মরণীয় হয়ে ওঠে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ প্রজন্মের ধারবাহিকতায় নুরুল আবছারও ছিলেন স্কুল কর্মচারী।
জানা গেছে, নুরুল আবছারের প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, তার দাদা ছেরাজুল হক, তার বাবা মুন্সি মিয়া এরপর তিনি কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর বয়সে যোগ দেন।
গত রবিবার, ৪৮ বছরের পথচলায় বিদ্যালয়ের শেষ ঘন্টা বাজিয়ে কর্মজীবনের সম্পাপ্তি ঘটান নুরুল আবছার। প্রায় ৫ দশকের কর্মজীবন শেষে অবসরজনিত কারণে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেন তিনি। একজন কর্মচারীর বিদায় অনুষ্ঠান রাজকীয় হয়ে উঠলো বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের মায়া, মমতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে ‘আবছার কাকু’ বলে সম্বোধন করেন, অন্যদিকে শিক্ষকরা ডাকতেন ‘আবছার ভাই’ বলে। এই স্কুলের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক বিদায় সংবর্ধনা পেলেন নুরুল আবছার।
এদিন সকালে বিদ্যালয় শ্রেণী কক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, আছিউর রহমান, রেজাউল করিম, তারেক নিজামী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আবু সুফিয়ান চৌধুরীসহ অনেকে।
সংবর্ধনা শেষে অনেকটা বরের সাজে নুরুল আবছার ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নেন প্রিয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। স্কাউট দলের সদস্যরা বাদ্যের তালে তালে এবং বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে তাকে জোরারগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাড়ি পৌঁছে দেন।এসময় অন্যরকম এক আবহ সৃষ্টি হয়।
তার বিদায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সংশ্লিষ্ট সকলে। নুরুল আবছার স্কুল কর্মজীবন শেষ করলেও প্রতিষ্ঠানের সকলের হৃদয়ে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানান বক্তারা।
আরও পড়ুন: