
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার প্রায় এলাকা ও শাহজাদপুর উপজেলার কিছু এলাকা যমুনা নদীর ভাঙ্গনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা ও শাহজাদপুর উপজেলার শাহজাদপুর থানার কয়েকটি গ্রামকে যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য এনায়েতপুর থেকে পাঁচিল পর্যন্ত যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ছয়শত সাতচল্লিশ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ বর্তমান চলমান।
যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজকে উপলক্ষ্য করে ৫ই আগস্ট ২০২৪ইং তারিখের পর থেকে এই যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন মারাত্মক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী হাসমত শেখ প্রশাসনের দুর্বলতা ও নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করে জমি ভরাট করে আসছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং এনায়েতপুর থেকে পাঁচিল পর্যন্ত যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের যে কাজ চলমান আছে তার সুফল কতটুকু হবে সে বিষয়ে এলাকার জনগণের কাছে জানতে চাইলে এলাকার জনগণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, ‘তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রভাবশালী হাসমত শেখের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে বিকল্প নির্মাণ উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে বালুর চাহিদা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। যমুনা নদী শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি স্থানীয় জনজীবনের অংশ। তাই নদীটি রক্ষা করা আমাদের নৈতিক ও পরিবেশগত দায়িত্ব।’
এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
আরও পড়ুন: