পর্যটন শহর কক্সবাজারে ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশ। ছিনতাই ঠেকাতে শহরের মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহর নিদের্শনায় পুলিশের এই কঠোর অবস্থানের কারণে গত কয়েকদিনে আটক হয়েছে পেশাদার চিহিৃত অনেক ছিনতাইকারী। এতে করে শহরবাসির মাঝে কিছুটা স্বস্তি মিলছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে অশান্ত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। দিনের আলোতেও শহরের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ছিনতাই রোধে জেলা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। গত ২৫ দিনে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৪৭ জন ছিনতাইকারীকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজার শহরের অন্তত ২০টি স্পটে সক্রিয় কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্র। অনুসন্ধানে দেখা গেছে গত ৯ জানুয়ারি কক্সবাজার শহরের ডিভাইন রিসোর্টের পাশে ছিনতাইয়ের শিকার হন আবরাহাম সহ তিন বন্ধু। তিন বন্ধু মিলে সৈকতে আড্ডা দিতে যান। ফেরার পথে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পাশে মাস্ক পরা পাঁচজন এসে তাদেরকে দিকে ছুরি চালায়। ছিনতাইকারীর দল মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়।
সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুর্বৃত্তরা খুলনার কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানীকে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়া গত শুক্রবার ভোরে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি পাড় এলাকায় মোবারক নামের টহলরত এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারী চক্র।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশি কার্যক্রমে একটু ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে অপরাধী চক্র মাথা চড়া দিয়ে উঠছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। অপরাধ নির্মূলে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৫ দিনে কক্সবাজার শহরের আলোচিত ৪৭ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধে ১১টি মামলা রুজু করা হয়েছে।’
এদিকে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








