
লক্ষ্মীপুরে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি ও বাধা কপি চাষ করে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক মো. জামাল। তার আবাদকৃত ২০ শতক জমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকার কপি উৎপাদন হয়েছে।
বাংলা এডিশনকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের কৃষক জামাল তার সফলতার কথা জানিয়েছেন। তার দেখা দেখি উচ্চমান পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙিন কপি চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।
জামাল জানান, নিজের বাড়ির পাশেই ২০ শতক জমিতে সাদা, গোলাপি, হলুদ ফুল কপি ও লাল বাঁধা কপি চাষ করেন তিনি। উৎপাদন আশানুরুপ হওয়ায় তার মুখে হাসি ফুটেছে। রঙিন কপির দাম বেশি পাওয়ায় তিনি শতভাগ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
জমিতে চাষসহ ফসল উৎপাদনে তার খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার উৎপাদিত কপি প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আক্তার উজ জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘চরমনসা এলাকায় একজন কৃষক রঙিন কপি চাষ করছেন। এ কপিগুলো সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এজন্য ক্ষেত থেকেই কপি কিনতে এসেছি। দাম বেশি হলেও বাজারে এ কপির চাহিদা রয়েছে।’
কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘জামাল নতুন করে হলুদ, গোলাপি রঙের ফুলকপি ও লাল রঙের বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ভালোই উৎপাদন হয়েছে। সাদা কপির দাম বাজারে এখন খুবই কম। কিন্তু রঙিন কপির দাম এখনো অনেকে বেশি।’
প্রতিকেজি রঙিন ফুল কপি এখন ১৫০ টাকা ও রঙিন বাঁধা কপি ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামিতে আমিও চাষ করবো।’
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বাংলা এডিশনকে বলেন, ‘পরীক্ষামূলক অবস্থায় একজন কৃষক রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি জারমূল্য ভালো পাচ্ছেন। রঙিন কপিগুলো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এনিয়ে আমরা কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি এবং কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যেনো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপি উৎপাদনে আগ্রহী হয়। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছি যেনো রঙিন কপিগুলো তারা চাষ করে। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’
আরও পড়ুন: