
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ওসমান পাটোয়ারী হত্যার বিচার দেখে যেতে চান বলে মন্তব্য করেছেন তার বাবা আব্দুর রহমান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান ওসমান। সেদিন টিপুর গুলিতে ওসমানসহ প্রাণ হারায় মোট চারজন।
৪ আগষ্ট ঘটা হত্যাকান্ডের সেই দূর্বিষহ স্মৃতি উল্লেখ করে মোনায়েম হোসেন নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘টিপু তার উত্তর তেমুহনীর বাসার ছাদ থেকে গুলি করে। সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীদের সহযোগিতায় পাখির মতো মেরেছে আমাদের ভাইদের।’
২০০২ সালের ১৯ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করা শহিদ ওসমান পাটোয়ারীর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর মোহনা ইউপির দক্ষিণ রায়পুর গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ওসমান পাটোয়ারী।
শহিদ ওসমানের বাবা মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার দেখে যেতে চাই। আর কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই।’
ওসমানের মা রেহানা আখতার বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ছেলের সব ইচ্ছে পূরণ করেছি। ইচ্ছে পোষণ করেছে আন্দোলনে যাবে। আন্দোলনে যাওয়ার আগেও আমার কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছে। আমি অনুমতি দিয়েছি। শহিদ হয়েছে ছেলে। এতে আমার দুঃখ নেই। সারাদেশের মানুষ এখন আমাকে শহিদের মা হিসেবে চেনে। এটাই আমার কাছে গর্বের ও মর্যাদার।’
গত বছরের ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গুলিতে চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এর মধ্যে ওসমান-সাব্বির হত্যার ঘটনায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। যার বিচার প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: