শুক্রবার

২ মে, ২০২৫
১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
৪ জিলক্বদ, ১৪৪৬

চাঁদপুরে শিক্ষক মোস্তফা কামালের তান্ডব

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:১০

শেয়ার

চাঁদপুরে শিক্ষক মোস্তফা কামালের তান্ডব
ছবি: বাংলা এডিশন

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের শাহাবাজ কান্দি গ্রামের সাংবাদিক আতিকুর রহমান দুলাল গংদের ভিটে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও চার পাশের আইল কেটে দিয়েছে একই বাড়ির জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল, তার বড় ভাই আইয়ূব মোশারফ ও জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫-৬ জন ছাত্র এবং বহিরাগত কিছু লোক।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আতিকুর রহমান দুলাল তার প্রতিপক্ষ জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তফা কামাল, তার বড় ভাই আইয়ূব মোশারফ, জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাবাজ কান্দি গ্রামের সাংবাদিক আতিকুর রহমান দুলাল গংদের বসত বাড়ির লাগোয়া তাদের পৈতৃক ডোবার চারপাশে ভরাট করে আইল তৈয়ার করে। এতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগান। ওই জায়গা প্রতিপক্ষ মোস্তফা কামাল তার নিজের বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করা হলে উভয় পক্ষকে ডেকে একটি শালিশ বৈঠক করা হয়। উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সাংবাদিক দুলাল গংদের পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের চাঁদপুর আদালতে মামলা থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদালত মতলব উত্তরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিল্লোল চাকমাকে তদন্তভার ন্যস্ত করেন। ফলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিল্লোল চাকমা সরেজমিন তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করেন।

পরে চাঁদপুর আদালত আইয়ূব মোশারফ এর মামলা খারিজ করে দেন বলে জানান সাংবাদিক আতিকুর রহমান দুলাল। এর পর ও থেমে নেই শিক্ষক মোস্তফা কামালের ষড়যন্ত্র। এদিকে ওই জায়গা দখলে নেয়ার জন্য মোস্তফা কামাল এখনো থেমে নেই। তারা সাংবাদিক দুলাল গংদের হয়রানী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।

১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শিক্ষক মোস্তফা কামালের নির্দেশে জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫-৬ জন দশম শ্রেণির ছাত্র রড, দা, সেনী ও লাঠি নিয়ে সাংবাদিক আতিকুর রহমান দুলালের দখলী ভূমিতে তান্ডব চালায়। বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে ফেলে। ওই সময় দুলাল গংরা ঘটনাস্থলে ছিলনা। থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে এলাকাবাসী জানান।  

এ বিষয়টির স্থায়ী সমাধান না হলে যে কোনো মূহুর্তে উভয় পক্ষের মাঝে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।  

banner close
banner close