
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে কেরু এন্ড কোম্পানির আনন্দবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মন্টু মিয়ার ছেলে হাতেম আলী ও আব্দুল খালেকের ছেলে ছাত্রদল নেতা শফিউল ইসলাম সাব্বির। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ ও সেনা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
সুত্র বলছে, সোমবার সকালে কেরু আনন্দবাজার এলাকায় দর্শনা পৌর যুবদল নেতা রকিবুল হাসাম ব্রাইটের কর্মীরা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টারের কর্মি ও কৃষক দল নেতা হাতেম আলীকে কুপিয়ে আহত করে।
পরে নাহারুল মাস্টারের স্বসস্ত্র কর্মীরা ব্রাইটের কর্মী ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাফিউল ইসলাম সাব্বিরের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাংচুর করা হয় তার বাড়ি। পালিয়ে যাওয়ার সময় মারধরের শিকার হয়ে আহত হন সাব্বির।
ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। পরে কেরুর আনন্দবাজার এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যাগ পাথর ও একটি কোচ উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে আহত শফিউল ইসলাম সাব্বির বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম। সকালে কেরুতে মারামারি হয়েছে। আমি ব্রাইট ভাইয়ের গ্রুপ করি এতে করে নাহারুল মাষ্টারের নির্দেশে তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়িতে যারা হামলা চালায় তাদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের ইমতিয়াজ, সামাউল, অমিন, জসিম, রমিজ, রবি ও রমিজ। নাহারুল মাস্টার ছাত্রলীগের লকজনকে আশ্রয় দিচ্ছে।
জানতে চাইলে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অপরাধীদের আটকে কাজ করছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বিএনপি ও যুবদলের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাষ্টারসহ ১৮ ও ৩৬ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় দুইটি মামলা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে মামলা দুটি করেন দর্শনা পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও রামনগরে মহসিন আলীর ছেলে মনির হোসেন।
আরও পড়ুন: