
বগুড়া জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনি ও বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী টি এম শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী বাবলী আক্তার।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর মৌজার দাগ নং- ৬০৭ হালদাগ নং- ৮০৫, জে এল নং- ৪১ আমার জমির উপর বরেন্দ্র নলকুপ স্থাপন করা আছে। শুরু থেকেই সরকারী প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ আসে ক্রমে আমরা উক্ত বরেন্দ্র নলকুপর অপারেটরের দায়িত্ব ২০১১ সাল থেকে পালন করে প্রায় ১৮০ বিঘা ধানের জমিতে সেচ কার্য পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। কিন্ত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বরেন্দ্র নলকুপ স্থাপনের স্থানে যাদের নিজেস্ব কৃষি জমি থাকবে কেবল মাত্র তারাই উক্ত বরেন্দ্র নলকুপের অপারেটরের দায়িত্ব নিতে পারবে। সেই ক্ষেত্রে আমারাই অপারেটরের যোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় বগুড়া জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনির কালো থাবার কাছে যেনো সকল সরকারি নিয়ম শৃংঙ্খলা ও আইন কানুন তুচ্ছ হয়ে গেছে। জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনয়ার রনির দাপটে বরেন্দ্র অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেনো আতংকের নাম হয়ে দাড়িয়াছে। যে বৈষম্যের জন্য আমরা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে দেশ ২য় বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি জনাব তারেক রহমানের নিকট বিচার জানাচ্ছি যে আপনি যদি জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনিকে থামাতে না পারেন তাহলে আমরা অনেক গরীব পরিবার তার কালো থাবায় শেষ হয়ে যাবো এবং আপনার প্রচেষ্টায় দেশ ২য় স্বাধীনতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে দাড়াবে।’
লিখিত বক্তব্যে বাবলী আক্তার আরও বলেন, ‘বরেন্দ্র অফিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আমরা আর অপারেটারের কাজ করতে পারবো না। আমি দেশবাসী ও জনাব তারেক রহমানসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি যেনো আমার এতিম ছেলে মেয়ের মুখে দুইবেলা ভাত তুলে দিতে পারি এই মানবিক সহযোগিতা সকলের কাছে কামনা করি।’
আরও পড়ুন: