
মানিকগঞ্জের ঘিওরে দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী লায়লা আরজুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সেকেন্দার আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘিওর উপজেলার রাথুরা এলাকার সেকেন্দার আলীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সেকেন্দার আলী ঘিওরের বানিয়াজুরির রাথুরা রাধানগর এলাকার মৃত সামছুর রহমানের ছেলে।
নিহত লায়লা আরজু দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিকস, হাই-প্রেসার, থাইরয়েড ও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ২০২২ সাল থেকে স্ত্রী লায়লা আরজু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্বামী সেকেন্দার আলীর চর্মরোগ থাকায় স্বামী-স্ত্রী আলাদা রুমে থাকতেন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক না থাকায় সেকেন্দার আলী দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে স্ত্রী লায়লা আরজু তাকে বাধা দেন। দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় এবং বিয়েকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সেকেন্দার আলী স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়। এরপর রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রী লায়লা আরজুর গলায় কয়েকটা আঘাত করে এবং আঘাতের পর রক্ত বের হয়ে ওড়না দিয়ে স্ত্রীর গলা বেঁধে ঘরে ফেলে রেখে বাজারে যান।
বাজার থেকে ফিরে ঘরের ভিতরে রক্তান্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন এবং স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই মাইনুল ইসলাম মুকুল বাদি হয়ে ঘিওর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াসমিন খাতুন জানান, ‘ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত সেকেন্দার আলীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা সে স্বীকার করেছে। আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: