
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে চাল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৩৪ জন চালকল মালিক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং প্রেসক্লাবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচজন চালকল মালিক তাদের ধান ছাঁটাই করে চাল সরবরাহ করার পরও পে-অর্ডার পাননি। এরপর অতিরিক্ত ৪২.৫০ মেট্রিক টন চাল গুদামে জমা দিয়ে তারা পে-অর্ডার ফেরত পান। চাল জমা দেওয়ার সময় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাল অথবা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি তা ফেরত না দিয়ে নানা অজুহাত দেখান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি বিভিন্ন মিলারের কাছ থেকে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা ধার নেন, যা এখনও পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়াও ধান ও চাল সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত খালি বস্তাগুলো আজও মিলারদের ফেরত দেওয়া হয়নি। মিল মালিকদের দাবি, এসব বস্তাও আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে, মিল মালিকরা জানান, তাদের পাওনা চাল ও অর্থ ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত চলতি আমন মৌসুমে তারা খাদ্য গুদামের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না। মালিহা চালকল মালিক আবুল কাশেম বলেন, "খাদ্য কর্মকর্তা আমাদের নানা ধরনের হয়রানি করছেন। আমরা রৌমারীতে এমন কর্মকর্তাকে চাই না।"
চালকল মালিক সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দিন লাল বলেন, "অতিরিক্ত চাল ও অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। বরং তিনি নানা টালবাহানা করছেন।"
এ বিষয়ে রৌমারী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।"
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হাসনাত মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, "আমরা অভিযোগ পেয়েছি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে খাদ্য গুদামে মজুদ চালের হিসাব তদন্ত করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কাবির খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: