
সিনেমায় সন্ত্রাসীদের রুপ দেখেছে সাধারণ দর্শক। পর্দায় তাদের উপস্থিতির প্রতিটি মূহুর্ত দর্শকদের মনে রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। মানুষ কতটা ভয়ঙ্কর ও জঘন্য হতে পারে তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারতো। খুলনায় সেই চরিত্রের বাস্তবিক রুপ দিয়েছে মাত্র ২৮ বছরের যুবক নুর আজিম । যার নামেই চলতো হত্যা, সন্ত্রাস, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম।
রীতিমতো হয়েছেন খুলনায় ত্রাস সৃষ্টিকারী ১২জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর গডফাদার। অবশেষে খুলনা ও ঢাকায় হত্যাসহ ১৩ টি মামলার আসামী নুর আজিম ও তার সহযোগি আরও ৪ জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মোঃ সালেহ।
এসময় তিনি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টীম গত ১ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খুলনা মহানগরীর ত্রাস, সন্ত্রাসীদের গডফাদার নুর আজিম ও রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়াকে গ্রেফতার করে। নুর আজিম খুলনা মহানগরীর দক্ষিন টুটপাড়া মহিরবাড়ি মোড় এলাকার শানু মহুরীর ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ খুলনা সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া এবং পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ টি বিদেশী একনলা ১২ বোর এর কাটা বন্দুক, ৪ টি কার্তুজ এবং ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ ১ টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, সন্ত্রাসী গডফাদার নুর আজিম খুলনা মহানগরী এলাকায় নিজ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, হত্যা, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনসহ অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।
শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলও এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশন চালাতো। তাদের গ্রেফতারের ফলে মহানগরীর জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
আরও পড়ুন: