
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি জামায়াত, এ ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, 'ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি জামায়াতে ইসলামী, ৫ আগস্টের পর নতুন ডাকাতরা ব্যাংক দখল করতে গিয়েছিল। তারা পালিয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ক্ষমতায় গেলে কারও ওপর জোর করে পর্দা প্রথা চাপিয়ে দেবে না জামায়াতে ইসলামী। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে যেখানে নারীরা আপন ইচ্ছায় পর্দা করবে।'
সৈয়দপুর উপজেলা ও শহর জামায়াত আয়োজিত এই পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, নীলফামারী জেলা আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার।
সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল মুনতাকিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শিল্পপতি রাজ কুমার পোদ্দার রাজু, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক ড. খায়রুল আনামসহ স্থানীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে খোকলা করে দেয়া দেশকে আবার সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার লুটপাট চালিয়েছে অর্থনৈতিক সেক্টরে। স্বাধীনতার ঠিকাদার সেজে চেতানার নামে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে সব লুটে পুটে নিজেদেরকে পুষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের চেতনাবাজী নতুন প্রজন্মের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের শুধু পতনই ঘটাইনি, দেশ থেকেই বিতারিত করেছে. কৃষকরা ফসল ফলাবে দেশকে সহযোগিতা করতে এবং দেশের মান উন্নত করতে। কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেয়া হবেনা। কাউকে জুলুমের মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হবেনা। শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান্তরাল সমৃদ্ধ করে জাতিকে সাজানো বাগানের মতো দেশ উপহার দেয়া হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি ১৭ বছর পর্যন্ত ভোটার করার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিশু-কিশোর ও যুবকরাই আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তাই তাদেরকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে আমরা কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদের প্রতি আমাদের দায় শোধ করতে পারি। এ ব্যাপারে যারা বিরোধিতা করছে তাদেরকে শুধরানোর আহ্বান জানান। সেই সাথে যারা সবিচালয়ে অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র ধ্বংস করেছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের মুখোশ উম্মোচন করে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, যারা আয়না ঘরের প্রতিষ্ঠা করে, জাতিকে দুঃসহ অপশাসনে নিপতিত করে দেশকে বিক্রির পায়তারা করেছিল তাদের জাতি আর কখনই ফিরতে দিবেনা। ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে তা চিরদিনই এদেশ থেকে বিতারিত থাকবে। আওয়ামীলীগ তাদের দোষ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এ প্রজন্ম তাদের বিরুদ্ধেই থাকবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: