
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫ বছরের পায়ে হাটা রাস্তায় দেয়াল নির্মান করার কারণে একটি পরিবারের বন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। বাড়ি নির্মাণকালে রাস্তা থাকলেও হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারটি।
পরিবারটি অভিযোগ, তাদের ১৫ বছরের পায়ে হাটা পুরোনো রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী একটি পরিবার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
শুধু তাই নয় কিছুদিন পূর্বে শয়ন ঘরে এসিড নিক্ষেপ করে প্রতিবেশি। তাই কষ্টের টাকায় তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজ বাড়িই যেনো এখন জেলখানা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেলকুচি পৌর এলাকার গাড়ামাসী দক্ষিনপাড়া এলাকায় পায়ে হাটা রাস্তাটির মাথায় উঁচু দেয়াল। মই বেয়ে সেই উঁচু দেয়াল পার হয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করছেন বাড়িটির বাসিন্দারা। শিশু থেকে বৃদ্ধা বাড়ির বাইরে বের হতে হলেই দেয়াল টপকানো ছাড়া কোনো পথ নেই। নানা অসুবিধায় বাধ্য হয়ে ইতোমধ্যে বাড়িতে তালা মেরে থাকছেন ভাড়া বাড়িতে।
ভুক্তভোগী জুয়েল আহম্মেদ জানান, ‘প্রতিবেশি মৃত হবিবর রহমানের ছেলে আজাহার সরকার ও জাফর সরকার বাড়ির পাশ দিয়ে ১৫ বছরের পায়ে হাটা রাস্তাটি দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা বাড়িতে যেতে বা বের হতে দেয়ালের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ইতি পূর্বে বাড়ির শয়ন ঘরের বেড়ায় এসিড নিক্ষেপ করে টিন নষ্ট করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও এর সমাধান পাইনি। আমি এর সমাধান চাই। আমার বাড়িতে আমি শান্তিতে বসবাস করতে চাই।’
প্রতিবেশীরা বলেন, ‘রাস্তাঘাট প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা চাই তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক।’
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া আজাহার সরকার বলেন, ‘বাড়িটি আমার না, আমার প্রবাসি ভাই জাফরের, সেই দেয়াল দিয়েছে। আপনি জাফরের সাথে কথা বলেন।’
জাফর প্রবাসে অবস্থান করার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এট জমি সংক্রান্ত ব্যাপার। সেই জন্য আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: