শুক্রবার

২ মে, ২০২৫
১৯ বৈশাখ, ১৪৩২
৪ জিলক্বদ, ১৪৪৬

খাগড়াছড়িতে ১৫ ইটভাটায় অভিযান, সাড়ে ৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৪৭

আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৮

শেয়ার

খাগড়াছড়িতে ১৫ ইটভাটায় অভিযান, সাড়ে ৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
ইটভাটায় অভিযান। ছবি: বাংলা এডিশন

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার ১৫ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ ভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১৫ ইটভাটায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও ভাটার চুল্লি নিভিয়ে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য মতে, সোমবার খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙা, রামগড়, মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সদরে ৩ টি, দীঘিনালায় ২ টি, রামগড়ে ৫ টি, গুইমারা ও মানিকছড়িতে ৪ টি ইট ভাটার চুল্লি নিভিয়ে দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।   

রামগড়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত জাহান তুহিন জানান, অবৈধ ভাবে পরিচালিত ভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৯ অনুযায়ী রামড়ের আপন ব্রিকস, মেঘনা ব্রিকস, নুরজাহান ব্রিকস, হাজেরা ব্রিকস ও নুরুল ইসলাম ব্রিকসের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ির ভাটা মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও ঠিকাদার মো. সেলিম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ভাটার লাইসেন্স নবায়নে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। এতে করে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে আছে। প্রতিবছর আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ভাটার কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। সরকার যদি ভাটা স্থাপনের প্রতি আন্তরিক না হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। সোমবার সারাদিনে অভিযানে ১৫ টি ভাটা বন্ধ করা হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৯ অমান্য করায় বিভিন্ন ভাটায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

banner close
banner close