শুক্রবার

২ মে, ২০২৫
১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
৪ জিলক্বদ, ১৪৪৬

হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক লালমুদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৫৬

আপডেট: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৫

শেয়ার

হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক লালমুদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ
কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের তহুরা বেগম (৫০) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামী হরিরামপুরের ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. লালমুদ্দিনকে কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত না করায় নিহতের ছোট ছেলে মো. তুহিন বিশ্বাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ঢাকা বিভাগের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি দিবাগত রাতে জেলার সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের ছোট বরুন্ডি এলাকায় তহুরা বেগমকে (৫০) হত্যা করে নিহতের পুত্রবধূ আইরিন আক্তার। পরেরদিন ১০ জানুয়ারি আমার মামা মো. মামুন হোসেন বাদি হয়ে আইরিন আক্তারকে ১নং এবং মো. লালমুদ্দিনকে ২নং আসামি করে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-১৩/১৩। মামলায় ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লালমুদ্দিনকে আইরিন আক্তারের পরকিয়া প্রেমিক হিসেবে তার বিরুদ্ধে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় গত ৩০ জুন উক্ত দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আজহারুল ইসলাম। যা গত ২৮ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কর্তৃক গৃহিত হয়। মামলায় বর্তমানে মো.লালমুদ্দিন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে আছেন। কিন্তু মো. লালমদ্দিন চার্জশীটভুক্ত আসামী হওয়ার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে তিনি কলেজে শিক্ষকতায় নিয়মিত বহাল আছেন এবং বেতনভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। সরকারি বিধি মোতাবেক একজন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিধান থাকলেও এখনও তিনি কলেজে পাঠদানসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগের কপি এখনো আমি পাইনি। তবে এ রকম অভিযোগ পেলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস এম মাসুদ রানা আতাউরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এরকম মামলা বা অভিযোগ হয়ে থাকে সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের লিখিতভাবে জানাবে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ্য, বিধি মোতাবেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ফৌজদারি/নৈতিক স্থলন/দুর্নীতির মামলায় কোনো শিক্ষক-কর্মচারী অভিযুক্ত হয়ে আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহিত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বেতন-ভাতার অর্ধেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন।

banner close
banner close