
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমির ঘর ভেঙে জোর করে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চলছে। উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়াড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার জমি দখলে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভোক্তভোগী নারীর উপর হামলা করা হয়। এবিষয়ে গত শনিবার(১৬ নভেম্বর) সিঙ্গাইর থানায় একটি লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী মজিরন নেসা। তবে ৪ দিনেও সেখানে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে হতবাক ভুক্তভোগী পরিবার।
ভোক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, খানবানিয়াড়া গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী মজিরন নেছাকে তার বাবা আর,এস ১৮৯৫ দাগের ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন । জমিটিতে একটি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন। এদিকে মজরন নেছার নগদ টাকা প্রয়োজন হলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বায়না করে একই এলাকার মোঃ এমদাদ ওরফে ইন্তাজ খাঁ। কিন্তু মোঃ এমদাদ ওরফে ইন্তাজ খাঁ প্রতারণা করে জমিটি বায়না দলিলের কথা বলে তার স্ত্রী সখিনা বেগমের নামে আমমোক্তার দলিল করে। পরবর্তীতে জমিটির মালিকানা দাবি করে জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ইন্তাজ খাঁ। এবিষয় ভুক্তভোগী পরিবারটি গত ১ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর দেওয়ানি ৩০৩/২৪। মজিরন নেছা জমিটির মামলার বিষয় লইয়া আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বিষয় আদেশ দেন যে বিবাদী পক্ষকে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলেন। এদিকে বিবাদী পক্ষ আদালতের নোটিশ পেয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন।
ভুক্তভোগী মজিরন নেছা বলেন, জমি থেকে আমার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে। আমি বাঁধা দিলে আমার উপর ইন্তাজ খাঁ, তার স্ত্রী ও বাড়াটে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার জমিতে নতুন করে ঘর বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করছে। শনিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি এখনো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এবিষয়ে কথা বলতে এমদাদ ওরফে ইন্তাজ খাঁর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অভিযোগটি কোন অফিসারের নিকট রয়েছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: