
"ভাই আমার স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। ছোট থেকে অনেক স্বপ্ন দেখে বড় হয়েছি। এখন মনে হচ্ছে স্বপ্নগুলো আমার নিভৃতে কাঁদছে। স্বপ্নগুলো পূরণের আগে জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।"
স্বাক্ষাৎকার নিতে যাওয়া একজন গণমাধ্যমকর্মীকে মেধাবী ছাত্র মশিউর এভাবেই বাঁচার আকুতি জানিয়ে ডুকরে কাঁদছিলেন।
ছোট থেকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে প্রায় চলে এসেছেন তিনি৷ সরকারি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। এখন সময় সামনে শুধু স্বপ্ন বোনার। সময়টা এখন সারাজীবন দেখে আসা স্বপ্ন পূরণের, কিন্তু জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শরীরে মরণব্যাধি কিডনি রোগ ছোবল মেরেছে। দুই কিডনি বিকল হয়ে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। তিলেতিলে গড়া স্বপ্নগুলো আজ নিভৃতে কাঁদছে তার।
বলছিলাম পরোপকারী, সমাজ সচেতন মানবিক মোঃ মশিউর রহমানের দুঃসময়ের গল্প। মশিউর মোঃ আজিজার রহমান ও ফাতেমা বেগম দম্পতির সন্তান। তার ঠিকানা- গ্রামঃ ধুবনি, ইউনিয়ন সিংগীমারী, ২ নং ওয়ার্ড, ডাকঘর: সিংগীমারী, উপজেলা: হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট জেলা।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার পথে তার। দুরারোগ্য কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে দু'বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। বর্তমানে তিনি রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷
মশিউর বলেন, স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন "স্বপ্নিল" থেকে জীবনে মানবিক হওয়ার শিক্ষা নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনছিলাম মনে। ছিল সামনে অনেকগুলো মানবিক কার্যক্রমের প্রজেক্ট। কিন্তুু আজ আমি নিজেই জীবন-মৃত্যুর দোটানায় পড়ে গেছি। আমি বাঁচতে চাই। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তা। সেজন্য সমাজের বিত্তবান সকলকে আর্থিকভাবে আমার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে সরকারি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য পড়াশোনায় জোরেশোরে মনোযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর শরীরে ধরা পড়ে কিডনি রোগ।
রংপুরে তত্ত্বাবধানে থাকা ডাক্তার মো: আব্দুস সবুর খান জানান, দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করালে মশিউরের সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য দরকার প্রচুর অর্থ। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের সক্ষমতা তার পরিবারের নেই।
মশিউরের পিতা আজিজার রহমান সাংবাদিককে বলেন, আমার ছেলেটা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা শেষ করেছে৷ অনেক অভাবের সংসার আমাদের। ওর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা। আজ ওর এই অবস্থা দেখে বাবা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। দয়াকরে সবাই আমার ছেলেটার পাশে দাঁড়ান৷ আমাদের সাহায্য করুন৷
মশিউরকে আর্থিক সহায়তা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন (০১৭৫০৮৪৮৯১৮), ডাচবাংলা ব্যাংক একাউন্ট A/C= ২৯৪১০৫০০১৩১৫৬, মো: মাশিনুর রহমান, ডাচ বাংলা ব্যাংক, হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।
আরও পড়ুন: