রবিবার

৪ মে, ২০২৫
২১ বৈশাখ, ১৪৩২
৬ জিলক্বদ, ১৪৪৬

সীমান্তে চোরাকারবার ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে বিজিবি

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১৭:২০

শেয়ার

সীমান্তে চোরাকারবার ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে বিজিবি
ছবি: সংগৃহীত

নাইক্ষ্যংছড়ি-মায়ানমার সীমান্তের চোরাকারবার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে অভিযান শুরু করেছে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি। বিজিবি ৩ কৌশলে এ অভিযান শুরু করেছেন বেশ কয়েকদিন ধরে। আর এ কৌশলে সুফলও পাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে কোটি টাকার নানা পণ্য জব্দ করেছেন এ সময়। পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে চোরাকারীদলও।

মঙ্গলবার নানা মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পেয়েছেন বাংলা এডিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি।

বিজিবি সূত্র জানান, তাদের দায়িত্বপুর্ণ এলাকা হল নিকুছড়ি থেকে আলীকদম সীমানা পর্যন্ত। দীর্ঘ এ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি চৌকি থেকে ২ কৌশলে সীমান্ত এলাকা পাহারা দিতেন। এর ১টি হল পায়ে হেটে অন্যটি চৌকি থেকে সোর্স বসিয়ে। তবে আঁকা-বাঁকা ও উচু-নিচু সীমান্ত সড়কে পায়ে হেটে চোরাচালান বন্ধ অতি কঠিন কাজ ছিল। সে কারণে চেরাকারবারীরা অনেকটা পার পেয়ে যেত। বর্তমানে নতুন কৌশলে এ টহল দেয়া হচ্ছে। বিজিবির গাড়ি নিয়ে নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক টহল।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, সীমান্তে চোরাকারবার বেড়েছে গত ২ বছর ধরে। জঙ্গলাকীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবি অভিযান চালালেও চোরাকারবারীরা নানা ফন্দি এটে অতি গোপনে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা সেদেশ থেকে আসা ইয়াবা ট্যাবলেট, মদ, মেথ, স্বর্ণ, পশু ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে আসে। আর এদেশ থেকে পাচার করে ইউরিয়া সার, চাল, ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেলসহ কয়েকশ প্রকারের পণ্য। এ অবস্থায় ১১ বিজিবি কতৃপক্ষ তাদের আগের কৌশলের কিছু নতুনত্ব নিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেন। তারা সীমান্তে রাত-দিন টহল জোরদার করে ৩ কৌশলে। যেমন পা হেঁটে টহল, অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারী ও গাড়ি যোগে সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে অভিযান।

সূত্র আরো জানান, এভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ অভিযান চালান পরিবর্তিত কৌশলে। সফলতাও আসে এতে। যাতে জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার মালামাল।

নতুন কৌশলের সীমান্তে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্যে করা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল।

তিনি বলেন, এবার সব ধরণের চোরাকারবার বন্ধ করার বিষয় নিয়ে চক এঁকেছেন তারা। যার মাধ্যমে অতিদ্রুত সবই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ যেন না হয় তার জন্য তিনি কঠোর সতর্কাবস্থানে রেখেছেন তার জওয়ানদের বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

banner close
banner close