
সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানার বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কোচিং করানোর সময় শ্লীতাহানির অভিযোগ ওঠেছে। এতে তার পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে একপর্যায়ে ওই অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস বর্জন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কে অবস্থান নেয়ার কারণে এ সময় তীব্র যানজট তৈরি হয়।
ওই সময় শিক্ষার্থীরা- ‘চাই চাই অপসারণ চাই, লুচ্চা হাফিজের অপসারণ চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান জোয়াদ্দার নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। এসব কারণেই তারা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি তুলেছেন।
বিক্ষোভকারীরা আরও দাবি করেন, বর্তমান অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানের ক্ষতি করছে।
বিক্ষোভ চলাকালে এনায়েতপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে আসেন। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, স্কুল ও কলেজ কমিটির সদস্যরা, শিক্ষকমন্ডলী এবং এনায়েতপুর থানার ওসিসহ এক বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে মো. হাফিজুর রহমান জোয়াদ্দার নিজ থেকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
পরে তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র এনায়েতপুর থানার ওসির হাতে হস্তান্তর করেন। ওসি পদত্যাগপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ করে শোনালে বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন থেকে সরে আসে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: