রবিবার

৪ মে, ২০২৫
২১ বৈশাখ, ১৪৩২
৬ জিলক্বদ, ১৪৪৬

ভাবিকে বিয়ে করতে বড় ভাইকে হত্যা: গ্রেফতার ৩

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩১

আপডেট: ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০৯

শেয়ার

ভাবিকে বিয়ে করতে বড় ভাইকে হত্যা: গ্রেফতার ৩
গ্রেফতারকৃত আসামি। ছবি : বাংলা এডিমন

পারিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরাতে সিঙ্গাপুর যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মোঃ ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকিয়ায় জড়ান ছোট ভাই মোঃ ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য  আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই ।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঘটে এমনই ঘটনা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ। এঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। 
আটককৃতরা হলেন, সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকার রোকমান মোল্লার ছোট ছেলে মো. ঝন্টু(২৪), মৃত উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী কাঞ্চন ওরফে মনিরা(২৩),একই গ্রামের পাশা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ(২২)।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকার রোকমান মোল্লার দুই ছেলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনতে প্রবাস জীবন শুরু করে  সিঙ্গাপুরে।
প্রবাসে থাকা অবস্থায় আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ঝন্টু মিয়া। ঝন্টু দেশে ফিরে আসে এবং পরকিয়ার সম্পর্ক চলমান থাকে। এদিকে মাসখানেক আগে বড় ভাই দেশে আসলে তাদের (মনিরা ও ঝন্টু) অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা সৃষ্টি হয়। এই বাঁধা সরাতে বড় ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝন্টু।

প্রবাস থেকে দেশে ফিরার ৯ দিন পর গত মাসের ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে নিখোঁজ হয় উজ্জ্বল মিয়া। নিখোঁজের ১৮ দিন পর ৩০ অক্টোবর উপজেলার তালেবপুরের কাংশা ধলেশ্বরী নদীর সংলগ্ন ব্রিজের নিচে কচুরিপানা ভিতর একটি প্লাস্টিকের ড্রাম দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই ড্রামের ভিতর অর্ধগলিত মরদেহটি দেখে এবং জুতা,লুঙ্গি দেখে কাঞ্চন ওরফে মনিরা তার স্বামীকে শনাক্ত করে। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।  

পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বলেন, ভাবির সঙ্গে পরকীয়া জড়ায় দেবর ঝন্টু মিয়া। বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়া দেশে ফিরে আসলে তাদের (মনিরা/ঝন্টু) অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে মনিরা তার স্বামী উজ্জ্বলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে এবং অচেতন অবস্থায় উজ্জ্বলকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার সঙ্গে ঝন্টুকে সহায়তা করে প্রতিবেশী মাসুদ নামের একটি ছেলে। হত্যার পর ঝন্টু ও মাসুদ দুজনে মিলে মরদেহ ড্রামের ভিতর ভরে নদীতে ডুবিয়ে গুম করে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয় এবং তিন জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

banner close
banner close