কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। রোববার সকাল ৯টার দিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই।
এদিকে পানি বাড়ায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক ঘরবাড়ি এবং কাঁচা সড়ক তালিয়ে গেছে। শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫শ মানুষ।
হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। এছাড়া তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসল পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন:








