সুদানের সংঘাতকবলিত করদোফান অঞ্চলে নতুন করে সহিংসতায় অন্তত ১৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণমূলক সংগঠন সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, দক্ষিণ করদোফানের অবরুদ্ধ শহর ডিলিংয়ে গত দুই দিন ধরে আবাসিক এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ চালানো হয়। এই হামলার জন্য তারা র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন)-কে দায়ী করেছে। শুক্রবার পর্যন্ত চলা এই হামলায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংগঠনটির অভিযোগ, হামলাগুলো পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক বসতিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ডিলিংয়ের এ ঘটনা করদোফানজুড়ে চলমান সহিংসতারই অংশ, যেখানে চলতি ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংঘাতের কেন্দ্র পশ্চিম দারফুর থেকে সরে এসে এখন সুদানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা সামগ্রিক যুদ্ধ পরিস্থিতিকে নতুন মোড় দিতে পারে।
এ অবস্থায় সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে—সংঘর্ষে জড়িত সব পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বেসামরিক এলাকায় হামলা বন্ধ করা এবং আটকে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তার নিরাপদ পথ নিশ্চিত করা হোক।
এদিকে, সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, হামলার পর ওই এলাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থির রয়েছে।
আরও পড়ুন:








