শনিবার

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

এইচ-এক বি ভিসা ফি বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ; ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ২০ রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:০৪

শেয়ার

এইচ-এক বি ভিসা ফি বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ; ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ২০ রাজ্যের
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এইচ এক বি ভিসার ফি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত অবৈধ, অযৌক্তিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শ্রমবাজারের জন্য ক্ষতিকর।

মামলার প্রধান বাদী হিসেবে আছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা এবং ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল জয় ক্যাম্পবেল। তাদের সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত হয়েছেন অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়েস, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ওরিগন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন, মোট ২০টি অঙ্গরাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তারা।

মামলার অভিযোগপত্রে রব বনতা বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এইচ–এক বি ভিসার ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং আইনের পরিপন্থী। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভিসার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান ও কর্মীরা চরম আর্থিক চাপে পড়ছেন এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে দক্ষ জনবলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া ভালোভাবেই জানে যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দক্ষ বিদেশি কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই ভিসা কর্মসূচিকে দুর্বল করা মানে সরাসরি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ঝুঁকির মুখে ফেলা।

এইচ–এক বি ভিসা একটি বিশেষ কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারে। ২০০৪ সালে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতি দেয়া হয়।

এই ভিসার মূল সুবিধাভোগী খাতগুলো হলো বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও ব্যবসায় প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এসব কোম্পানিতে শত শত বিদেশি দক্ষ কর্মী কাজ করছেন।

এইচ–এক বি ভিসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ। ভিসাধারীরা সহজেই স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি পান এবং গ্রিনকার্ড পাওয়ার পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে সেটিও সাধারণত অনুমোদিত হয়।

এতদিন এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোকে প্রতি ভিসার জন্য এক হাজার ৫০০ ডলার ফি দিতে হতো। তবে গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করেই এই ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলার নির্ধারণ করে, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।



banner close
banner close