মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে ফের সংঘাত, এ পর্যন্ত নিহত সাত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩৭

শেয়ার

কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে ফের সংঘাত, এ পর্যন্ত নিহত সাত
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চার মাসের স্থিতাবস্থা ভেঙে সীমান্ত এলাকায় ফের সংঘাত শুরু হয়েছে। গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ইতোমধ্যে দুদিনে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন—যার মধ্যে ৬ জন কম্বোডিয়ার নাগরিক এবং একজন থাই সেনাবাহিনীর সদস্য। খবর রয়টার্সের।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, সোমবার রাতে সীমান্ত এলকায় থাই বাহিনীর ছোড়া গোলায় ২ জন বেসামরিক নিহত হওয়ার ফলে দুদিনে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে পৌঁছেছে। এদিকে থাইল্যান্ডে নিহত ব্যক্তি দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, থাইল্যান্ড সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের নাটক সাজিয়ে সাধারণ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

অন্যদিকে, থাই নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার সামরিক তৎপরতাকে ‘সরাসরি এবং গুরুতর হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া ভারী অস্ত্র ও স্নাইপার শ্যুটার মোতায়েন করছে, সুরক্ষিত অবস্থান উন্নত করছে এবং স্থল সীমান্ত এলাকায় পরিখা খনন করছে। একই সঙ্গে থাই নৌবাহিনী ত্রাত প্রদেশের জলসীমায় কম্বোডিয়ার সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া দিয়েছে বলেও জানিয়েছে।

সংঘাত উসকে ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগে থাইল্যান্ড জাতিসংঘের কাছে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে থাই ভূখণ্ডে গোপনে ল্যান্ডমাইন পেতে রাখার অভিযোগ জানিয়েছিল, যাতে বেশ কয়েকজন থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। থাই সরকারের এ অভিযোগ জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কম্বোডীয় সেনাবাহিনী সি সা কেত প্রদেশের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, এতে দু’জন থাই সেনা আহত হন। এই অতর্কিত হামলার জবাবে থাই প্রতিরক্ষা বাহিনী কম্বোডিয়ায় বিমান অভিযান পরিচালনা করে, যার পর থেকেই সংঘাত পুরোদমে শুরু হয়।

এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হলো এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল বা পান্না ত্রিভুজ নামের একটি ভূখণ্ড, যা নিয়ে ১১৮ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। প্রাচীন মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনাসমৃদ্ধ এই ভূখণ্ডকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয়েই নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসের শেষ দিকে এই সীমান্ত সংঘাত চরম আকার ধারণ করেছিল, যেখানে দুই দেশের ৪৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছিলেন এবং ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।



banner close
banner close