ইউক্রেনের ধারাবাহিক হামলায় রাশিয়ার তেল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্ববাজারে সামান্য বেড়েছে তেলের দাম। তবে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এই বৃদ্ধি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম উঠেছে ৬২.৯১ ডলারে, আর মার্কিন ডব্লিউটিআই তেলের দাম ৫৯.২৪ ডলার হয়েছে।
বুধবার ইউক্রেন রাশিয়ার তামবভ এলাকায় দ্রুজবা পাইপলাইনে হামলা চালায়। এটি ইউরোপের হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় রুশ তেল পাঠানোর গুরুত্বপূর্ণ রুট। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, সরবরাহ এখনো চালু আছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা এখন নিয়মিতভাবে রাশিয়ার রিফাইনারিগুলোকে টার্গেট করছে। এর কারণে রাশিয়ার তেল পরিশোধন প্রতিদিন আগের তুলনায় প্রায় ৩৩৫,০০০ ব্যারেল কমে গেছে। পেট্রোল ও ডিজেল উৎপাদনও কমেছে।
এদিকে, ইউক্রেন–রাশিয়া শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ায় বাজারে আবার অনিশ্চয়তা বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের সঙ্গে ক্রেমলিনের বৈঠকেও কোনো অগ্রগতি মেলেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এখনই দামের বড় উত্থান–পতনের সম্ভাবনা নেই। বাজার সীমিত ওঠানামার মধ্যেই থাকবে।
এদিকে, ফিচ রেটিংস বলছে, আগামী কয়েক বছরে তেলের বাজারে সরবরাহ বাড়বে। ফলে দাম কম থাকতেই পারে।
সূত্র : রয়টার্স
আরও পড়ুন:








