জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকা থেকে যে চিঠি গেছে, তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অনুরোধ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তার এ বক্তব্য প্রকাশের পরই জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, ভারত কি তবে, এবার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের কথা ভাবছে? নাকি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যাতই হলো আরেকবার?
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টিই স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বুধবার ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে নতুন করে একটি অনুরোধ এসেছে। এই অনুরোধটি চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এরপরই তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ—বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবো।
এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে ভারত মূলত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অ-প্রতিশ্রুতি অবস্থানেই অটল আছে। হাসিনার রায়ের দিন রণধীর জসওয়াল যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সঙ্গে গতকালের মন্তব্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত অন্তর্ভুক্তি এবং গণতন্ত্রের কথার মাধ্যমে আসলে বলার চেষ্টা করছে যে কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলেও মনে করে ভারত।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তখন থেকে দেশটির অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দুই দফায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে, এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাওয়ার তথ্য স্বীকার করেছে দিল্লি।
আরও পড়ুন:








