সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে ৫৪তম ঈদ আল ইতিহাদ (জাতীয় দিবস) উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। চার দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়ায় দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এ উপলক্ষ্যে নিরাপদ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ উদযাপন নিশ্চিত করতে আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিক নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদযাপন অবশ্যই জননিরাপত্তা ও সড়ক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না করে করতে হবে। জাতীয় গর্ব প্রকাশে অনুমোদিত উপায় ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সরকারি অনুমোদিত ঈদ আল ইতিহাদ (জাতীয় দিবস) স্টিকার গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে বাসাবাড়ি ও কর্মস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে।
তবে নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ১১টি কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে:
১. অনুমোদনবিহীন শোভাযাত্রা বা এলোমেলো জনসমাবেশে অংশ নেওয়া।
২. সড়কে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা বা রাস্তা অবরোধ করা
৩. স্টান্ট বা বিপজ্জনক ড্রাইভিং।
৪. গাড়ির জানালা বা সানরুফ থেকে ঝুঁকে থাকা বা শরীর বের করা।
৫. গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা।
৬. গাড়ির জানালা ঢেকে ফেলা বা নম্বর প্লেট আড়াল করা।
৭. অনুমোদনবিহীন গাড়ির পরিবর্তন বা অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টি।
৮. ঈদ আল ইতিহাদ (জাতীয় দিবস) সম্পর্কিত নয় এমন স্কার্ফ বা উপকরণ ব্যবহার।
৯. আমিরাতের পতাকা ছাড়া অন্য কোনো পতাকা উত্তোলন।
১০. গাড়িতে স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার।
১১. ঈদ আল ইতিহাদ (জাতীয় দিবস) ব্যতীত অন্য কোনো সংগীত উচ্চ শব্দে বাজানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি জব্দ ও জরিমানা।
আমিরাতবাসীকে উৎসবে অংশ নেয়ার উৎসাহ জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন দেশপ্রেম প্রকাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। তবে পতাকা উত্তোলনে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। পতাকার সঠিক রং, অনুপাত, পরিচ্ছন্নতা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে স্থাপনসহ মোট ১৫টি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:








