ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় বসেছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোতে, কাতার, তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে ছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী, মিসর ও তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান। তারা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয়ধাপ সফলভাবে কার্যকরের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে দখলদার ইসরালের কাছে আরও এক জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। মঙ্গলবার দুটি দল এ ঘোষণা দিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র শাখা বলেছে, “আল-কুদস ব্রিগেড এবং ইজদ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেড বিকেল ৪টায় এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে। এ জিম্মির মরদেহ মধ্য গাজায় পাওয়া গেছে।”
ইসলামিক জিহাদ গতকাল সোমবার মধ্য গাজায় মরদেহটি খুঁজে পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামিক জিহাদের এক যোদ্ধা জানিয়েছেন, যে তিন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ এখনো গাজায় রয়ে গেছে, তাদের একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
গত ১০ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। যা ১৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। ওইদিনই হামাস ২০ জীবিত জিম্মিকে ফেরত দেয়। এরপর ২৮ মৃত জিম্মিরর মরদেহ ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এখনো আরও তিন জিম্মির দেহাবশেষ ফিলিস্তানে রয়ে গেছে। আজকে একজনের মরদেহ ফেরত দিলে আর মাত্র দুজনের থাকবে। এরপর গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হবে।
আরও পড়ুন:








