অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির রাজধানী ডারউইনে ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনা’। ক্যাটাগরি-৩ ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দার জন্য এটি ১৯৭৪ সালের ঘূর্ণিঝড় ট্রেসি’র ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো এই তথ্য জানায়।
আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, শনিবার রাতে ডারউইনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর ঝড়টি ধীরে ধীরে শহর থেকে সরে যাচ্ছে। ঝড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ১৯৭৪ সালের ক্রিসমাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ট্রেসি’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যা শহরের বড় অংশ ধ্বংস করে এবং ৬৬ জনের প্রাণ নিয়েছিল।
ঝড়ের আঘাতে বাড়িঘর ও বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে বলে এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে কোনো গুরুতর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্যাটাগরি-৩ ঘূর্ণিঝড় সাধারণত গাছপালা, ফসল ও দুর্বল স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষতি ঘটায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
ডারউইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপদ হলেই পুনরায় উড়ান চালু করা হবে।
জরুরি সংস্থা সিকিউরএনটি বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়া এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে, ঝড়ের সময় বাইরে ঘুরে দেখা নিরাপদ নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড ওয়াটার করপোরেশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কত মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। রোববার সকাল থেকেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এই বছরের মার্চে ঘূর্ণিঝড় অ্যালফ্রেড কুইন্সল্যান্ডে আঘাত হেনেছিল এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটিয়েছিল।
আরও পড়ুন:








