মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০ পৌষ, ১৪৩২

আসামে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ায় কংগ্রেস নেতাকে বাংলাদেশি বলে কটাক্ষ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪২

শেয়ার

আসামে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ায় কংগ্রেস নেতাকে বাংলাদেশি বলে কটাক্ষ
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা (বিজেপি নেতা)

ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য আসামের শ্রীভূমি জেলায় (সাবেক নাম করিমগঞ্জ) জাতীয় কংগ্রেসের এক কর্মসূচিতে জেলাস্তরের নেতা বিধুভূষণ দাস, ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি গাওয়ায়, তাকে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যটির শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে।

বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস এখন ‘বাংলাদেশমুগ্ধ’। তাদের বক্তব্য, এমন এক সময় এই ঘটনা ঘটল যখন বাংলাদেশের নতুন মানচিত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ অংশকে নিজেদের বলে দেখানো হয়েছে।

তবে ঘটনাটি বিজেপি যতই রাজনীতির আঙিনায় আনতে চাক, কংগ্রেস এ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক’ বলছেন অন্যান্যরা। কারণ, গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দেশপ্রেমের গান হিসেবে পরিচিত। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে তিনি গানটি লিখেছিলেন। গানটি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের বিভাজন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ১৯১১ সালে সেই বঙ্গভঙ্গ প্রত্যাহার করা হয়। স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালে গানটি নিজেদের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ।

এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈ। তার বক্তব্য, বিধুভূষণ দাস ৮০ বছরের একজন প্রবীণ সদস্য। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গেয়েছেন। বিজেপি বলছে, এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের গান। তারা বুঝতেই পারছে না এই গানের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব কতটা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত বছর সরকার বদলের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। শেখ হাসিনা, যিনি ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন, এখন দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে সামান্য পরিবর্তন হলেও এখনও সখ্য বজায় আছে।



banner close
banner close