রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৭

আপডেট: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৮

শেয়ার

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ভয়াবহ সামরিক অভিযান ও তার জেরে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রায়োজনীয় দ্রব্যাদির অভাবে ধুঁকতে থাকা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢুকতে শুরু করবে ট্রাকগুলো।

ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

২০২৩ সালের সাত অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর দিন আট অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। অভিযানের অংশ হিসেবে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণের সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর আগে থেকেই দারিদ্র্যপীড়িত গাজার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ সরাসরি খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলো। আইডিএফের অভিযান শুরুর পর রীতিমতো শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছায় গাজার অবস্থা। অভিযানের গত দুই বছরে শুধুমাত্র ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই শিশু।

গাজায় ত্রাণের সরবরাহ প্রবেশ করে মূলত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাস সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। যুদ্ধবিরতির পর প্রথম তিন দিনের প্রতিদিন রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে।

ট্রাম্পের ২০ পয়েন্ট সম্বলিত প্রস্তাবে একটি পয়েন্টে গাজায় বন্দি সব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেয়ার ব্যাপারটি উল্লেখ ছিলো। যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন জীবিত সব জিম্মিকে ফেরত দিলেও মাত্র চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় হামাস। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাজায় ত্রাণের সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসরায়েল।



banner close
banner close