রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:১৩

আপডেট: ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:১৭

শেয়ার

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল ইসরায়েলের
ছবি: সংগৃহীত

মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরতের ব্যাপারে হামাসের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীর প্রবেশ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

অপর এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল কান পাবলিক ব্রডকাস্টার জানিয়েছে, এই যুদ্ধের দুই অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসরকে গতকাল হামাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর অব্যাহত রাখা হবে। কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই তথ্য জানার পর ত্রাণের প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ইসরায়েলের সরকার।

২০২৩ সালের সাত অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে এসেছিল হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হামাসের কব্জায় ছিল ৪৮ জন জিম্মি। হামাস জানিয়েছিল, এই ৪৮ জনের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে, বাকি ২৮ জন মারা গেছে।

২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন যে পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে হাজির করেছিলেন ট্রাম্প। ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাতে সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাসকে ট্রাম্প শর্ত দিয়েছিলেন যে গোষ্ঠীটিকে অবশ্যই জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মি এবং মৃত ২৮ জন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সোমাবার নিজেদের কব্জায় থাকা জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলও কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ৩ হাজার ৭০০ জনকে ছেড়ে দেয়।

২০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তির পাশাপাশি চারজন মৃত জিম্মির মরদেহও হস্তান্তর করে হামাস। যুদ্ধবিরতির আগেই অবশ্য হামাস জানিয়েছিল যে তারা কিছু জিম্মির মরদেহের সন্ধান হারিয়ে ফেলেছে। এর কারণ হিসেবে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ড বলেছে, জিম্মিদের মরদেহের ব্যাপারে যারা জানতেন তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অথবা হামলার কারণে মরদেহগুলো যেখানে রাখা হয়েছিল, সেই স্থানের চিহ্ন হারিয়ে গেছে।

এসব জিম্মির মরদেহ খুঁজে পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল হামাস। এমনকি ৭ থেকে ৯ জিম্মির মরদেহের সন্ধান আর কখনো পাওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেছেন গোষ্ঠীটির নেতারা।

২৮ মৃতদেহের বদলে গতকাল মাত্র চারটি মরদেহ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এবং গাজা মিসর সীমান্তের রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখা ও ত্রাণের প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত কাল মন্ত্রিসভা থেকে দেওয়িা এক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

এর পরেই মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরতের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় হামাস। মধ্যস্থতাকারীদের বরাতে জানা গেছে, বুধবার আরও চারজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।



banner close
banner close