হামাসের কাছে থেকে মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। আজ সোমবার আরও ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। অপরদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি। এই বিনিময়ের মধ্যেই আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সফরে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। এরপর যুদ্ধবিরতির চুক্তি সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন মিশরে। যেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ অন্তত ২০টি দেশের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে মিশরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক স্টিফেন জিউনেস আল জাজিরাকে বলেন, এবার যুদ্ধবিরতিটি স্থায়ীভাবে কার্যকর করার জন্য দৃঢ় মনোভাব দেখা যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের সমর্থন না থাকলে এবার চুক্তি ভঙ্গ করা নেতানিয়াহুর জন্য কঠিন হবে।
কিন্তু মিশরের শারম আল শেখ শহরে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া এই চুক্তিতে কি আছে? কাতারের দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগটি জিম্মি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এতে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য কোনো বিস্তৃত ও স্পষ্ট রূপরেখা নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতিকে একটি বিস্তৃত শান্তি চুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলেও, বাস্তবে এটি দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা কোনো দীর্ঘমেয়াদি শান্তির রূপরেখা দেখতে পাচ্ছি না। পশ্চিম তীরের দখল নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ বা এই সংঘাতের কাঠামোগত কারণগুলো নিয়েও কিছু বলা হয়নি। বলেন মোহাম্মদ এলমাসরি।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা পরিকল্পনায় গুরুতর সমস্যা আছে উল্লেখ করে এলমাসরি বলেন, বিশেষ করে ইসরায়েল কীভাবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে তা স্পষ্ট নয়।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনা করে এলমাসরি আরও বলেন, বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ায় একপাক্ষিক মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি ও তাদের পরিবারের প্রতি। ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:








